মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ফেনীর সোনাগাজীতে এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তার জ্যাঠা শ্বশুর মো. শফি উল্যাহ (৬০) আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত শফি উল্যাহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুন বিকেলে নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু ঘটনাটি গত কয়েকদিন আগে জানাজনি হয়। ঘটনা জানাজানির পর থেকে অভিযুক্ত শফি উল্যাহ পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও গৃবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ও অভিযুক্ত শফি উল্যাহ একই বাড়ির বাসিন্দা ও সম্পর্কে আপন জ্যাঠা শ্বশুর। গত দুই বছর আগে গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে চলে যান। শ্বশুর একটি দোকানে চাকরি করার সুবাধে সকালে কর্মস্থলে চলে যান রাতে ফেরেন। ঘরে শুধুমাত্র অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে ওই গৃহবধূ থাকতেন। ঘরে কোনো পুরুষ লোক না থাকায় শফি উল্যাহ প্রায় সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। এমনকি টাকার লোভ দেখিয়ে ওই গৃবধূকে অনৈতিক কাজে প্রস্তাব দিতেন। গৃহবধূ বিষয়টি তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও প্রবাসে থাকা স্বামীকে জানান। তারা শফি উল্যাহকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফি উল্যাহ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পরে গত ১৮ জুন দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমানোর সময় শফি উল্যাহ তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপরও গৃহবধূ বিষয়টি তার শাশুড়িকে জানান। তিনি লজ্জায় বিষয়টি কাউকে বলতে বারণ করেন।
গত কয়েকদিন আগে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে দুই দফা শালিশি বৈঠক করেও সমাধান না হওয়ায় স্থানীয় সমাজ কমিটির লোকজন গৃহবধূকে থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গৃহবধূ জানান, শফি উল্যাহ তার আপন জ্যাঠা শ্বশুর। তাকে বারবার নিষেধ করার পরও সে তাকে ধর্ষণ করেছে। তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বর্তমানে তিনি পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত শফি উল্যাহকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শনিবার (২৩ নভেম্বর) ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হবে। পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে।